বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে শুধু রাজনৈতিক অধিকার নয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনেও ষড়যন্ত্র হয়েছে। পাশ্ববর্তী একটি দেশের সংস্কৃতি পরিকল্পিতভাবে এদেশে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর পরীবাগে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘সতীর্থ স্বজন’ নামে একটি সংগঠন এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, “আগে নববর্ষে মুখোশের আড়ালে আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) সম্পর্কে অপপ্রচার চালানো হতো। দাড়ি-টুপি পরা মানুষদের নিয়ে অবমাননাকর উপস্থাপনাও করা হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গত ১৬ বছর ধরে আমাদের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে। এখন সেই অধিকার পুনরুদ্ধারের সময় এসেছে।”
পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে তিনি বলেন, “দেশবাসীর মূল চাওয়া ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। কারণ, ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।”
জুলাই মাসে ছাত্রদলের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে রিজভী বলেন, “আমি তখন কারাগারে। শুনি, একজন আন্দোলনে পড়ে গেলে আরেকজন এসে দাঁড়ায়। এই সাহস আর উদ্দীপনা জাতীয় কবি নজরুলের গান আর লেখায় অনুপ্রাণিত।”
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র মানেই সংস্কার। এটি প্রবাহমান নদীর মতো—এখানে কর্তৃত্ববাদের কোনো স্থান নেই।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, কবি রেজা স্টালিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব ইসলাম, ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন।